রবিবার, ২২ মে, ২০১১

চলুন সহজে প্রস্তুত করি কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস

আজকের বিষয় হল কিভাবে সল্প খরচে পরীক্ষাগারের কঠিন যন্ত্রপাতি ছাড়া ও পরীক্ষাগারের কোন রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া কিভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস প্রস্তুত করা যায় ।

পরীক্ষাগারে সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বনেট বা মার্বেল পাথরের সাথে লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া ঘটিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড প্রস্তুত করা হয় ।নিচের চিত্রটি দেখুন :



চিত্র দেখে বুঝতে পারি পরীক্ষাগারে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস প্রস্তুত করতে কিকি যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক দ্রব্য লাগতে পারে । আমি আর এদিকে যাবনা । চলুন দেখি সহজ পদ্ধতি :

প্রয়োজন :

  • ছিপিসহ একটি ছোট প্লাস্টিকের বোতল ।
  • একটি প্লাস্টিকের চিকন পাইপ ।
  • ডিমের খোসা ।
  • একটি লেবু ।
কাজ :

প্রথমে বোতলের ছিপিটাকে ছিদ্র করে প্রাস্টিকের পাইপটিকে ঐ ছিদ্রপথে সামান্য প্রবেশ করাই । এবার ডিমের খেসাকে ভাল করে চূর্ণ বিচূর্ণ করে বোতলে ভরি । এপর লেবু কেটে পরিমাণমত লেবুর রস বোতলে ভরে ছিপি আটকে দেই । কিছুক্ষন রেখে পর্যবেক্ষন করি । যখন বোতলের ভিতর বুদবুদ সৃস্টি হবে তখনই মনে করতে হবে গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে যা পাইপের ভিতর দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবে । এখন প্রশ্ন হল কি করে বুঝব যে উৎপন্ন গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস কিনা । এজন্য একটি জলস্ত কাঠি পাইপের মুখে ধরি (সাবধান পাইপে যেন আগুন ধরে না যায়)। দেখা যাবে কাঠিটি নিভে গেল অথবা পাইপের মুখ চুনের পাইপের মধ্যে ধরি । দেখা যাবে চুনের পানি ঘোলা হয়ে গেছে । এতো প্রমানিত হবে যে উৎপন্ন গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড । কারণ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নিজে জ্বলে না ও অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করেনা এবং এই গ্যাস চুনের পানিকে ঘোলা করে ।

ব্যাখ্যা :  ডিমের খোসায় থাকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট আর লেবুর রসে থাকে এসিড । ফলে এসিডের সাথে ক্যালসিয়াম কার্বনেট এর বিক্রিয়ায় কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় ।