মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০১১

পুরুষ হল পজিটিভ চার্জ আর নারী হল নেগেটিভ চার্জ

বৈদ্যুতিক চার্জ দুই প্রকার । যথা : ১। পজেটিভ চার্জ ২। নেগেটিভ চার্জ । বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে ।


একটি বৈদ্যুতিক বাতি দুটি তারের মাধ্যমে সুইচের সাথে যুক্ত থাকে এবং দুটি তারের রং ভিন্ন থাকে । একটি তারকে বলা হয় ধনাত্নক তার আর অপরটিকে বলা হয় ঋণাত্বক তার । দুটি তার পাশাপাশি অবস্থান করে কিন্তু উভয়কেই আবরণের মাধ্যমে পৃথক রাখা হয় যেন তারা পরস্পরকে স্পর্শ করতে পারেনা বা যুক্ত হতে না পারে । কারণ মাঝ পথে যদি তাদের মধ্যে সংযোগ সাধিত হয় তবে দুর্ঘটনা ঘটবে । আবার তার দুটি একসাথে অবস্থান করেও একসময় বাল্বের ফিলামেন্টের মাধ্যমে পরস্পর মিলিত হয় এবং সুন্দর আলো উৎপন্ন করে । অর্থাৎ সুইচের পর থেকে একটা নির্দিষ্ট পথ তার দুটি পাশাপাশি অবস্থান করে কিন্তু তারা কখনই পরস্পরকে স্পর্শ করে না এবং নির্দিষ্ট পথ বা সময় অতিক্রম করার পর বালবে মিলিত হয় ।


এই উদাহরণ দিয়ে আমি এটা বলতে চাচ্ছি যে, নারী ও পুরুষ, দুটি বিপরীত লিঙ্গের মধ্যে অবশ্যই আকর্ষণ থাকবে এবং তারা পরস্পর মিলিত হতে চাইবে । কিন্তু তারা যদি অসময়ে মিলিত হয় তাদের তবে দুর্ঘটনা ঘটবে । কিন্তু তাই বলে কি তারা পাশাপাশি অবস্থান করবেনা ? হ্যাঁ করবে, বৈদ্যুতিক তার দুটি যেমন আবরণ দ্বারা পৃথক থেকে পাশাপাশি অবস্থান করে নির্দিষ্ট সময় পরে মিলিত হয় ঠিক তেমনি নারী ও পুরুষ পর্দার মাধ্যমে পৃথক থেকে পাশাপাশি অবস্থান করবে এবং নির্দিস্ট বা উপযুক্ত সময়ে বিয়ের মাধ্যমে মিলিত হয়ে সুন্দর সংসার গঠন করবে ।


প্রত্যেকা নারীর এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা একান্তই নিজের এবং প্রত্যেক পৃরুষেরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা পুরুষের একান্তই নিজের। এ বৈশিষ্টগুলো একজন নারীকে পুরুষ থেকে আলাদা করে নারীর নিজস্ব সত্তার উপস্থিতি জানান দেয় , তেমনি পুরুষের ক্ষেত্রে । নারী ও পুরুষের এই বৈশিষ্ট গুলো প্রকাশ পায় তাদের কথাবার্তা, আচার ব্যবহার, চলাফেরা, পোষাক পরিচ্ছেদ ইত্যাদির মাধ্যমে ।যখন নারী ও পুরুষের এই বৈশিষ্ট গুলো একে অপরের সাথে মিশে যায় তখন নারী ও পুরুষ তাদের নিজস্ব সত্ত্বার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। নারী ও পরুষ যাতে তাদের একান্ত নিজস্ব সত্ত্বকে একে অপরের মাঝে হারিয়ে না ফেলে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করাকেই পর্দা নামক রুপক শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে ।