বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১১

খাঁজ কাটা ! খাঁজ কাটা !! খাঁজ কাটা !!!..........

এক শিক্ষক তার এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে খুবই সমস্যায় আছে । শিক্ষার্থী বাংলায় খুব দূর্বল বিশেষ করে রচনা মুখস্ত তো করতেই পারেনা আবার নিজেও সৃজনশীল কিছু লিখতে পারেনা । তাই শিক্ষক তার এই দূর্বলতা দূর করার জন্য একটি উপায় বের করলেন । তিনি ঠিক করলেন তার শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন একটি করে রচনা লিখতে দিবেন নিজের মন মত করে লিখতে। এতে করে যদি কিছু নিজে থেকে লিখতে লিখতে কিছুটা রচনা লেখায় পারদর্শী হতে পারে । সে অনুসারে শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে যেকোন প্রাণী সম্পর্কে একটি রচনা লিখে নিয়ে আসতে বলল ।

শিক্ষার্থী যথারীতি ''কুমির'' এর উপর একটি রচনা লিখে নিয়ে আসল । রচনাটি ছিল এরকম ----

কুমির জলে বাস করে । এর চারটি পা আছে । দুটি চোখ আছে । লম্বা চোয়াল বিশিষ্ট মুখ আছে । দাঁত খুব শক্তিশালী । এর একটি লেজ আছে । লেজের উপর খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা ................. (এভাবে লিখতে লিখতে তিন পৃষ্টা লিখে এনেছে) ।

শিক্ষক তার রচনা দেখে খুব রাগান্বিত হল । এবার শিক্ষার্থীকে গরুর রচনা লিখে নিয়ে আসতে বলল ।

শিক্ষার্থী গরু সম্পর্কে লিখে নিয়ে আসল -----

গরু গৃহপালিত প্রাণী । এর চারটি পা আছে । দুটি কান, দুটি চোখ, একটি মাথা ও একটি লম্বা লেজ আছে। গরু ঘাস খেয়ে জীবন ধারণ করে । গরুকে নদীর ধারে ঘসে খেতে দেয়া হয় । ঐ নদীতে কুমির থাকে । কুমিরের লেজের উপর থাকে খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা ................. (এভাবে লিখতে লিখতে তিন পৃষ্টা লিখে এনেছে) ।

শিক্ষক এটা দেখে খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন । একে তো কুমিরের কাছ থেকে সরাতে হবে । তাই তিনি অন্য রকম একটি বিষয়ে অর্থাৎ উড়োজাহাজ সম্পর্কে রচনা লিখতে বললেন ।

শিক্ষার্থীও উড়োজাহাজ সম্পর্কে রচনা লিখে আনল এরকম -----

উড়োজাহাজ আকাশে উড়ে । এর সাহায়্যে সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া যায় । উড়োজাহাজ মাঝে মাঝে দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে নদীতে আছড়ে পড়ে । সেই নদীতে কুমির থাকে । সেই কুমিরের লেজ থাকে খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা ................. (এভাবে লিখতে লিখতে তিন পৃষ্টা লিখে এনেছে) ।

শিক্ষক কোন উপায় না দেখে তাকে নবাব সিরাজোদ্দৌউল্লাহ সম্পর্কে রচনা লিখে নিয়ে আসতে বললেন ।

শিক্ষার্থী লিখে নিয়ে আসল ----

সিরাজউদ্দোল্লাহ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন । ১৭৫৭ সালে তিনি পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয় । যুদ্ধের সময় তিনি মীর জাফর, রায় দূর্লভ, জগৎ শেঠ এদের উপর বিশ্বাস করে দ্বায়িত্ব দিয়ে খাল কেটে কুমির এনিছিলেন । সেই কুমিরের পিঠে ছিল খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা ................................................