আমরা সাধারণত লেখার জন্য কলম ব্যবহার করি আবার অনেক সময় পেন্সিল দিয়েও লিখি  । আজ আমরা লিখব আগুনের সাহায্য। কি করে লিখব ? চলুন দেখি - 
দরকার :
- একটি বিকার ।
 - ১০ গ্রাম সোডিয়াম নাইট্রেট ।
 - ফিল্টার পেপার/ব্লটিং পেপার/পোর্চমেন্ট পেপার ।
 - শুষ্ককারী যন্ত্র (হেয়ার ড্রাইয়ার হলে চলবে)
 - নাড়ন কাঠি/গ্লাস রড ।
 - লাইটার
 - ছোট রং তুলি ।
 - পানি ।
 - একটি পেন্সিল ।
 - শুকনা কাঠি ।
 
সতর্কতা :
- চোখে গগলস পড়ে নিতে হবে ।
 
- যে কক্ষে পরীক্ষা করা হবে সে কক্ষের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ভাল হতে হবে কারণ পরীক্ষার সময় প্রচুর ধোঁয়া উৎপন্ন হতে পারে ।
 
কি করতে হবে :
প্রথম ধাপ :
     বিকারের মধে সামান্য পরিমাণ (কমপক্ষে ১০ মি. লি.) পানি নিয়ে তার  মধ্যে ১০ গ্রাম সোডিয়াম নাইট্রেট যোগ করে নাড়ন কাঠির সাহায্যে নাড়িয়ে তা  ভালভাবে দ্রবীভূত করি । তারপর উহাতে আর একটু সোডিয়াম নাইট্রেট যোগ করে  নাড়াই । যদি তা দ্রবীভূত না হয় তবে আর যোগ করতে হবে না । কিন্তু যদি  দ্রবীভূত হয় তখন আর একটু যোগ করতে হবে । এভাবে দ্রবণ প্রস্তুত করতে হবে । 
দ্বিতীয় ধাপ :
     এখন রং তুলি ঐ দ্রবণের মধ্যে ডুবিয়ে ডুবিয়ে পেপারেরর মধ্যে যা  লিখতে চাই তা লিখি । দরকার হলে লেখাগুলোর উপর দিয়ে আবার লিখতে হবে যেন সব  জায়গায় ভালভাবে দ্রবণ পড়ে । খেয়াল রাখতে হবে যেন লেখার মধ্যে একটি বর্ণের  সাথে অপর বর্ণের যোগসূত্র থাকে অর্থাৎ কোন ফাঁকা যেন না থাকে এবং পেপারের  একেবারে প্রান্ত থেকে লেখা শুরু করতে হবে । যেখান থেকে লেখা শুরু করব  সেখানে পেন্সিল দিয়ে একটি চিহ্ন দিতয়ে রাখতে হবে । এরপর পেপারটিকে শুকিয়ে  নেই । এতে লেখাগুলো অদৃশ্য হয়ে যাবে । 
তৃতীয় ধাপ :
     এখন শুকনো কাঠিটি লাইটার দিয়ে একপ্রান্তে আগুন জ্বালাই এবং ফুঁ  দিয়ে নিভিয়ে দেই । তখন কাঠিটি শিখাহীন লালাভ জ্বলতে থাকবে স্ফুলিঙ্গের মত ।  এই লালাভ স্ফুলিঙ্গকে পেপারের যেখান থেকে লেখা শুরু করেছি সেখানে ভালভাবে  স্পর্শ করে ধরি। তখন পেপারে লালাভ স্ফুলিঙ্গের আকারে আগুন লেখা বরাবর চলতে  থাকবে এবং ধোঁয়া তৈরি হবে । ফলে কাগজে কাল পোড়া দাগ পড়বে যেরকম লেখা  হয়েছিল ঠিক সেরকম এবং লেখাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠবে। 
কেন এমন হয় :
     আমরা জানি অক্সিজেন দহনে সাহয্য করে । সোডিয়াম নাইট্রেট দ্রবণ  দিয়ে লেখার উপর যখন আগুনের স্ফুলিঙ্গ ধরা হয় তখন সোডিয়াম নাইট্রেট  বিক্রিয়া করে সোডিয়াম নাইট্রাইট ও অক্সিজেন উৎপন্ন করে। এই অক্সিজেনই লেখা  বরাবর আগুনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এতে করে আগুন অন্যদিকে নাগিয়ে লেখা বরাবর  চলতে থাকে এবং কাগজ পুড়ে কাল লেখা স্পষ্ট হয়ে উঠে ।